বৈদিক যুগ, ঋক বৈদিক যুগ, পরবর্তী বৈদিক যুগ ( Vedic age, Rik Vedic age After Vedic age )

সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংশের পরে ভারতে যে সভ্যতার সৃষ্টি হয় তার নাম বৈদিক সভ্যতা বা বৈদিক যুগ নামে পরিচিত। বেদকে ভিত্তি করে এই সভ্যতা গড়ে ওঠে বলে এই সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতা বলা হয়। এই সভ্যতার স্রষ্টাদের 'আর্য' বলা হয়। খাঁটি শব্দে আর্য কথার অর্থ হল "সৎবংশজাত" বা "অভিজাত মানুষ", আর্য কোনো জাতি নয় আর্য ভাষাগত ধারণা। সংস্কৃত , ল্যাটিন , গ্রিক , জার্মান , পারসিক প্রভৃতি ভাষার মধ্যে একটি সাদৃশ্য আছে , বলা হয় মূল ভাষা থেকে এই ভাষা গুলি সৃষ্টি, একত্রে এই ভাষাগুলিকে "ইন্দো-ইউরোপীয়" ভাষা বলা হয় , যারা এই ভাষায় কথা বলে তাদের আর্য বলে ।
আর্যদের আদি বাসস্থান :
আর্যদের আদি বাসস্থান সম্পর্কে পন্ডিতেরা একমত নয়। অনেক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন ভারতবর্ষই আর্যদের আদি বাসস্থান, আবার অনেকে ইউরোপ , মধ্যে এশিয়া , উত্তর আফ্রিকা , স্কান্ডেনেভিয়া ও উত্তর মেরুর কথা বলে থাকেন। এটা প্রমাণিত আর্যরা সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা নয় , সিন্ধু সভ্যতার ধংসকারী।
ভারতে আর্যদের আগমন ও বসতি বিস্তার :
হিন্দুকুশ ও উত্তর পশ্চিম গিরিপথ অতিক্রম করে আর্যরা ভারতে প্রবেশ করে। কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে তারা ভারতে প্রবেশ করে বলা সম্ভব নয় , তবে এটা সত্য তারা একস্রোতে প্রবেশ করেনি। আর্যদের বসবাস ছিল 'সপ্তসিন্ধু অঞ্চল' প্রধানত পাঞ্জাবের পাঁচটি নদী → শতদ্রু , বিপাশা , ইরাবতী , চন্দ্রভাগ ও বিতস্তা এবং সিন্ধু ও সরস্বতীর নাম অনুসারে এই অঞ্চলটি "সপ্তসিন্ধু" নামে পরিচিত। আফগানিস্তান, উত্তর ভারত, পাঞ্জাব, সিন্ধুর পার্শবর্তী অঞ্চলে আর্যদের আধিপত্য বৃস্তিত হয়।
ঋকবেদ'আর্যদের প্রাচীনতম সাহিত্য । ঋকবেদের রচনাকাল অনুসারে পন্ডিতেরা ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দকে আর্যদের আগমন হিসাবে চিহ্নিত করণ করেন। পরবর্তী বৈদিক যুগে (১০০০-৬০০ খ্রিষ্ট্রপূর্বাব্দ ) আর্যরা ক্রমশ পূর্ব দিকে বৃস্তিত হতে থাকে, পশ্চিমে সিন্ধু উপত্যকা থেকে পূর্বে গঙ্গা উপত্যকায় অর্থাৎ মধ্য ভারতে তাদের আধিপত্য বিস্তৃত হয়। বৈদিকযুগের শেষভাগে আর্যরা দক্ষিণ ভারতে প্রবেশ করে, তবে উত্তর ভারতের মতো প্রাধান্য স্থাপন করতে পারেনি। বঙ্গে এবং আসামে বৈদিকযুগে আর্য সংস্কৃত প্রবেশ করতে পারেনি।
আর্যরা ভারতে স্ত্রী , সন্তান -সন্ততি, পশুপাল নিয়ে এক বিরাট গোষ্ঠীর দেশান্তর গমন করেন। রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে পাঞ্জাব পশ্চিম সীমায় অনার্যদের হারিয়ে ভূভাগ দখল করে এবং অনার্যদের দাসে পরিণত করে। গাঙ্গেয় উপত্যকায় বসবাস কালে আর্যদের সাথে অনার্যদের বিবাহ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এই সময় আর্যরক্ত পবিত্র রাখার জন্য নানা কঠোর বিধি প্রবর্তিত হয়। মগধ , অঙ্গ , বঙ্গ ও কলিঙ্গে অনার্যরা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল , তাই এই অঞ্চলে ব্রাম্ভন্য আধিপত্যের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটে। দক্ষিণ ভারতে এই অবস্তা আরো শোচনীয় ছিল। ঋষি , ব্রাম্ভনরাই সংস্কৃতি বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে , তাদের মধ্যে 'ঋষি অগস্ত্য'-ই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ট ।
বৈদিক সাহিত্য :
ঋক , সাম , যজুঃ , অথর্ব ; এই চারটি বেদ এবং সংহিতা , ব্রাহ্মণ , আরণ্যক , উপনিষদ ও বেদাঙ্গ নিয়ে যে বিশাল বৈদিক সাহিত্য গড়ে উঠেছিল , তা রচনা করতে কয়েক বৎসর সময় লেগেছিলো । আর্যদের প্রাচীনতম সাহিত্যের নাম 'বেদ'। 'বিদ' শব্দের অর্থ (জ্ঞান) থেকেই 'বেদ' কথাটির সৃষ্টি । হিন্দুদের বিশ্বাস বেদ মানুষের রচনা নয় - সয়ং ঈশ্বরের বাণী। প্রাচীন ঋষিরা এই বাণী শ্রবন করেছিলেন বলে বেদকে "শ্রুতি" বলা হয় । বংশ পরস্পরায় বেদ মুখে মুখে প্রচলিত ছিল বহুকাল তা লিপিবদ্ধ করা হয়নি ।

ঋক , সাম , যজুঃ , অথর্ব বেদের মধ্যে ঋকবেদই প্রাচীনতম। আর্যরা সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে বসবাসের সময় ঋকবেদ রচনা করেন ।
১. ঋক : প্রাকৃতিক বর্ণনা এবং প্রাকৃতিক দেবদেবীর স্তুতি গান রয়েছে ।
২. সাম : সমস্থ প্রার্থনা বা মন্ত্র ( Hyam ) আছে যা ঋক বেদের যজ্ঞের সময় ব্যবহার হত ।
৩. যজু : যাগ যজ্ঞের মন্ত্রাদি, যেগুলো এই যুগে চর্চা করা হত ।
৪. অথর্ব : সৃষ্টির রহস্য , চিকিৎসাবিদ্যা ও নানান বশীকরেনের মন্ত্রাদি এই বেদে ছিল ।
প্রতিটি বেদকে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয় : সংহিতা , ব্রাহ্মণ , আরণ্যক ও উপনিষদ ।
১. সংহিতা : দেবদেবীর গান এবং যজ্ঞের মন্ত্র দিয়ে গঠিত ।
২. ব্রাহ্মণ : যাগ-যজ্ঞের বিধান ।
৩. আরণ্যক : সংসার ধৰ্ম শেষে যারা অরণ্যে আশ্রয় নিত তাদের ধৰ্ম মত্ ।
৪. উপনিষদ : উপনিষদ বেদের শেষ ভাগ , তাই তা বেদান্ত ( বা বেদের অন্ত ) নামে পরিচিত । আরণ্যক সারাংশের উপর ভিত্তি করে যে দার্শনিক চিন্তার উদ্ভব হয়েছিল তাই হল উপনিষদ ।
কালক্রমে বৈদিক সাহিত্য বিশাল ও জটিল রূপ ধারণ করে । মূলতত্ত্ব সংক্ষেপে ও নির্ভুল ভাবে বোঝানোর জন্য রচিত হয় সূত্র সাহিত্য । এর দুটি আংশ - বেদাঙ্গ ও ষড়দর্শন ।
ঋক বৈদিক যুগ ( Rik Vedic Age )
সময় : ১৫০০ B.C থেকে ১০০০ B.C
রাজনৈতিক জীবন :
ভারতে প্রবেশের পূর্বে আর্যরা নানা দল , উপদল ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল । নিজেদের মধ্যে এবং অনার্যদের মধ্যে সর্বদাই যুদ্ধে লিপ্ত থাকত। যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই রাজার প্রয়োজন হয়। এই যুগে
' পরিবার 'ছিল সর্বনিন্ম স্তর এবং পরিবার (Family) -ই ছিল রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি → কয়েকটি পরিবার নিয়ে গঠিত হত
' গোষ্ঠী ' (Clan) → এবং কিছু গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত হত '
উপজাতি' (Tribe)। 'উপজাতি' ছিল সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তর যা একটি রাজ্যের সমতুল্য। এইসময় কয়েকটি শাসনতান্ত্রিক বিভাগের উল্লেখ পাওয়া যায় -
গ্রাম ,
বিশ এবং
জন। কয়েকটি পরিবার নিয়ে গঠিত হত
গ্রাম। গ্রামের শাসনকর্তাকে বলা হত
গ্রামনী। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত হত বিশ এবং শাসনকর্তাকে বলা হত
বিশপতি, জন এর শাসনকর্তাকে পোপ বলা হয়। এইযুগের শেষের দিকে বৃহৎ রাষ্ট্রের উৎপত্তি হতে থাকে এবং রাজারা সম্রাট , একরাট , বিরাট প্রভৃতি উপাধি ধারণ করতে থাকে। সমাজ ও রাষ্ট্রে রাজা সর্বময় ছিলেন , তিনি উজ্জ্বল পোশাক পরিধান করতেন এবং অভিষেকের মাধ্যমে সিংহাসনে বসতেন। বহিঃশত্রূর আক্রমণ এবং প্রজাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করাই ছিল রাজার প্রধান দায়িত্ব। রাজাকে যুদ্ধে যেতে হতো এবং যুদ্ধে সাফল্যেই ছিল সিংহাসনের উপর তাঁর অধিকারের প্রধান শর্ত।
রাজা সর্ব শক্তিমান হলেও কখনোই স্বৈরাচারী ছিলেন না। রাজাকে সর্বদাই পরামর্শ নিতে হত
সভা ও
সমিতি নামে দুটি পরিষদ
থেকে।
সভা : বয়োজ্যষ্ট ও জ্ঞান-বৃদ্ধদের নিয়ে গঠিত হত সভা , এখানে মেয়েরা অংশ নিতে পারতো না।
সমিতি : গোষ্ঠীর সকল মানুষ নিয়ে গঠিত হত সমিতি এবং এখানে মেয়ারও অংশ নিতে পারতো।
সভার চেয়ে সমিতি ছিল অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান। রাজশক্তি নিয়ন্ত্রণে পুরোহিতদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যাগযজ্ঞ ও ধর্মীয় কাজে পুরোহিত ছিলেন সর্বেসর্বা এছাড়াও কূটনৈতিক ও যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি রাজার সঙ্গী হতেন এবং যুদ্ধজয়ের জন্য পার্থনা করতেন।
বলিষ্ট এবং
বিশ্বমিত্র ছিল এইযুগের প্রভাতশালি পুরোহিত।
সামাজিক জীবন :
ঋক -বৈদিক যুগে পরিবার ছিল সমাজের ভিত্তি , তা ছিল পিতৃতান্ত্রিক ও একান্নবর্তী। পরিবারকে বলা হত '
কুল'এবং পরিবারের প্রধান বা বয়োজোষ্ঠ পুরুষ সদস্যকে বলা হত '
গৃহপতি' বা '
কুলপ'। গৃহে পুত্রের উপর পিতার নিয়ন্ত্রণ ছিল অধিক এবং বিনাবাক্যে পরিবারের সকল সদস্যকে 'গৃহপতি' -র শাসন মেনে নিত। সাধারণত তিন প্রজন্মের সদস্যদের নিয়ে পরিবার গড়ে উঠত - পিতা , পুত্র ও পৌত্র। পরিবার গুলি ছিল যৌথ। এযুগে অতিথির বিশেষ সন্মান ছিল। সমাজে নারীরা সম্মানের আসনে ভূষিত হতো। কন্যাসন্তানকে অবহেলা না করে তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হত। নারীরা মন্ত্র পাঠ , অধ্যাপনা, তর্কযুদ্ধে এবং সভা ও সমিতির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতেন। অনেকে যুদ্ধ বিদ্যাতেও পারদর্শী ছিল। ঋগ্বেদে কিছু বিদুষী নারীর উল্লেখ আছে , যেমন → ঘোষ , অপালা , বিশ্ববারা ,
লোপামুদ্রা এরা এইযুগের শিক্ষার উচ্চ স্তরে পৌঁছেছিলেন। সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ এ যুগে প্রচলিত ছিল না। পতি নির্বাচনে নারীদের স্বাধীনতা ছিল। পণপ্রথা প্রচলিত ছিল।
পশুর চামড়া , পশমের বস্ত্র ও সুতির বস্ত্র ব্যবহৃত হত। পুরুষেরা উর্ধে ও নিন্মে এবং মহিলারা সমগ্র দেহে বস্ত্র পরিধান করত। মহিলারা সোনা , রুপা , দামিপাথরের অলংকার ও ফুলের মালা পরিধান করত। মেয়েরা নানা ভাবে কেশবিন্যাস করতো এবং চিরুনি ও তেল ব্যবহার করত। খাদ্য হিসাবে তারা চাল ,গম , যব , ফল -মূল , শাক ,সবজি ,মাছ , মাংস , দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করত। তারা ঘোড়া , ভেড়া , ছাগল ও গরুর মাংস ভক্ষণ করত কিন্তু গাভী হত্যা নিন্দনীয় ছিল। সোমরস ও সূরা নামে দুটি পানীয় তারা পান করত। অবসর সময় বিনোদনের উপায় হিসাবে নাচ-গান , মুষ্টিযুদ্ধ , পাশাখেলা , মৃগয়া , রথের দৌড় প্রভিতি প্রচলিত ছিল। আর্যরা ভারতে প্রবেশের সময় বর্ণ হিসাবে দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল -' শ্বেতকায় আর্য ও কৃষ্ণকায় অনার্য। কালক্রমে গুণ ও কর্মের বিভিন্নতা অনুসারে আর্য সমাজে নুতুন শ্রেণীবিন্যাস বা বর্ণপ্রথা দেখা দেয়। ঋকবেদের '
পুরুষ সূক্ত' বলা হয়েছে যে , ব্রম্ভার মুখ থেকে ব্রাম্ভন , বাহু থেকে ক্ষত্রিয় , উরু থেকে বৈশ্য ও পদদ্বয় থেকে শুদ্র-র উৎপত্তি।
ব্রাম্ভন : যারা ঈশ্বর উপাসনা , যাগযজ্ঞ এবং অধ্যায়ন-অধ্যাপনা করতেন তারা ব্রাম্ভন বলে পরিচিত ছিলেন।
ক্ষত্রিয় : রাজকার্য , রাজ্যশাসন ও যুদ্ধবিদ্যায় পারঙ্গম ব্যক্তিগণ ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত ছিল।
বৈশ্য: কৃষিকার্য , ব্যাবসা-বাণিজ্য রত পারদর্শী ব্যক্তিগণ বৈশ্য নামে পরিচিত ছিল।
শুদ্র : পরাজিত অনার্যরা আর্য সমাজে বসবাস তিন উচ্চবর্ণের সেবা করত তারা শুদ্র নামে পরিচিত।
ঋগবৈদিক যুগের শেষ দিকে সমাজে 'চতুরাশ্রম' প্রথার উৎপত্তি। চতুরাশ্রম সমাজে পূর্ণ ভাবে বেঁচে থাকার চারটি উপায়। এই চারটি উপায় হলো :-
ব্রাম্ভচর্য : গুরুগৃহে বাসকরে ব্রাম্ভচর্য পালন এবং বিদ্যাচর্চা।
গাৰ্ইস্ত্য : যৌবনে সংসার ধৰ্ম পালন।
বান্প্রস্ত : গৌড় বয়সে সংসার ত্যাগ করে অরণ্যে গিয়ে ঈশ্বর চর্চা।
সন্যাস : সব শেষে সাংসারিক বন্ধন ছিন্ন করে সন্যাস গ্রহণ।
বৈদিক যুগের দেবদেবী :
ইন্দ্র : ইনি ছিলেন সর্ব শ্রেষ্ট দেবতা , তার উদ্যেশে ঋগ্বেদে ২৫০ টি মন্ত্র আছে। একে বলা হয়
পুরন্দর অর্থাৎ দুর্গ - ধংসকারী , এবং সৃষ্টির দেবতা
অগ্নি : ২০০ মন্ত্র আছে
বরুন : পাপ পূর্ণ এবং জলের দেবতা
সোম : বৃক্ষাদি
মরুৎ : বজ্র , প্রার্থনা , বৃষ্টি
সূর্য : আলোক
যম : মৃত ও বায়ু বা বাতাস
দেবীর হলেন :
অদিতি , উষা , সাবিত্রী , সরস্বতী
পরবর্তী বৈদিক যুগ ( After Vedic Age ) :
সময় :১০০০ B.C থেকে ৬০০ B.C
এইসময়
হস্তিনাপুর ,
কৌশাম্বি নগরের সূচনা হয়
এই সময় ইন্দ্র স্থানচূত হয় এবং প্রজাপতি
ব্রম্ভা ,
বিষ্ণু ও
শিবের আসন শ্রেষ্ট হয়
: কালপঞ্জী :
১৫০০ B.C → আর্যদের আগমন
১৫০০ - ১০০০ B.C → ঋগ বৈদিক যুগ
১৪০০ - ১০০০ B.C → ঋগবেদ রচনা
১০০০ - ৬০০ B.C →পরবর্তী বৈদিক যুগ
১০০০ → লোহার ব্যবহার
প্রশ্নমালা :
১. আর্যদের প্রাচীনতম গ্রন্থের নাম কি ?
২. বেদকে শ্রুতি বলা হয় কেন ?
৩. বেদ কাইপ্রকার এবং কি কি ?
৪. আর্যদের চতুরাশ্রম প্রথার প্রথম আশ্রমের নাম কি ?
৫. ঋকবৈদিক যুগে দু'জন বিদুষী রমণীর নাম কারো ?
৬. ঋকবৈদিক যুগে দু'জন দেবতা / দেবীর নাম কারো ?
৭. গ্রামনি / বিষপতি কি ?
৮. সভা / সমিতি কি ?